আলি হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (সদর) প্রতিনিধি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের ডিআইজির সভায় সামনের সারিতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসর ও জেলা কৃষকলীগ সভাপতির বসা নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহীদ সাটু হলে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। এসময় মঞ্চের একেবারে সামনের সারিতে বসা ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ বকুল। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার ছবি তোলার জন্য গেলে তিনি পরিস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোত্তাসিন বিশ্বাস বলেন, একজন ব্যক্তির দাওয়াত ছাড়া আইনশৃঙ্খলা অনুষ্ঠানে প্রবেশের সুযোগ নেই। কেও না কেও দাওয়াত দিয়ে জেলা কৃষক লীগের সভাপতিকে ডেকে এনেছে। এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় এখনও স্বৈরাচারের দোসর পুলিশের মধ্যে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী দোসররা জেলায় ১৬টি বছর আইনশৃঙ্খলা অবনতি করে রেখেছিল। মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। একজন ফ্যাসিবাদের পদধারী নেতা সামনের সারিতে বসা নিয়ে সকলেই বিব্রত।
সভায় যোগ দেয়া একজন প্রবীণ বিএনপি নেতা বলেন, সদর মডেল থানার ওসি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কাজ করছে, তার নমুনা আইনশৃঙ্খলা সভায় আওয়ামী লীগের উপস্থিতি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, দাওয়াত ছাড়াই অনেকেই অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেউ ঢুকে থাকতে পারে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সমাবেশের উপস্থিত সুধীজনদের করা ২৮টি অভিযোগের উত্তর দেন (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্য সচিব সাব্দির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।