মোঃ জুয়েল খাঁন খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
দেশের বেশ কিছু বিব্রত পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে ঘটে যাওয়া বিষয়ের উপরে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলেও আইনের ধারা মতে সেটি অদৃশ্যমান তাহলে আমরা কি বুঝি যেখানে মানুষের সামনে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেখানে কেন সঠিক আইন প্রয়োগ না করে আইনকে বিব্রত করার জন্য আবার সাক্ষী প্রমাণ দরকার হচ্ছে এ কারণেই আমার মনে হয় আইন এর সঠিক প্রয়োগ আমাদের দেশে নেই বললেই চলে বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া অনেক দৃশ্যই আমরা দেখতে পাই নিখুত প্রমাণ রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা সুস্পষ্ট বুঝতে পারছি যে অপরাধী অপরাধ করেছে তা দৃশ্যমান তারপরও কেন নেই সঠিক বিচার এ সমস্ত বিচার এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে তাহাদেরকে গ্রেফতার করে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো কিন্তু এক্ষেত্রেও দেখতে পেলাম ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করতেছেন তারপরেও তাদের বিচার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করা হচ্ছে তাতেই কি বোঝা যায় না যে আইনের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বাধা তবে আইনের চোখ যতই কালো কাপড় দিয়ে বাধা থাকুক না কেন যে সমস্ত অপরাধীদের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাহাদের ক্ষেত্রেও তারিখের পর তারিখ কোট প্রাঙ্গনে কেন পড়ছে? পুলিশ গ্রেফতার করে এনে সঙ্গে সঙ্গে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি তাহলেই দেশের আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ হবে বলেও আমি আশা করি বিশেষ করে দেখা যায় যে যে কোন ঘটনা ঘটার পর দীর্ঘ টাইম ধরে তাদের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এটা শুধু তাদের ক্ষেত্রেই করা দরকার যাদের অপরাধের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না কিন্তু যাদের সঠিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের ক্ষেত্রেও দীর্ঘ টাইম কেন বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং কেনই বা তারিখের পর তারিখ চলতে থাকে এতেই কি বুঝতে বাকি থাকে যে আইনের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে বা হচ্ছে না যে সকল দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলমান থাকে তাহলে এটাই কি আমাদের আইনের সঠিক প্রয়োগ বলে আমরা মনে করি। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ ঘটনারই সুনির্দিষ্ট তথ্য অনেকেরই হাতে রয়েছে কিন্তু তারপরও কেন এ সকল ঘটনার নেপথ্যে থাকা অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না যেখানে একজন অপরাধীর সকল তথ্য প্রশাসনের হাতে থাকার পরেও তার বিচার কার্যক্রম ধীরগতিতে চালানো হয় সেখানে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমি সকল বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই দিনের পর দিন একজন অপরাধীর বিচার কার্যক্রম পরিচালনা না করে যে সকল অপরাধীদের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাদেরকে বিচারিক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সুনির্দিষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অনেক অপরাধী রয়েছে আইনের বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবারো একই অপরাধের সাথে সংঘবদ্ধ হন আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং দ্রুত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করলে এ ধরনের অপরাধিরা অনেকেই আর অপরাধ করতে সাহস পাবেন না। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি যে কোন মামলার ক্ষেত্রে দিনের পর দিন কোট প্রাঙ্গণ হতে কাঁদতে কাঁদতে অনেকেই বছরের পর বছর দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন তারপরও শেষ হচ্ছে না বিচারিক কার্যক্রম। বিশেষ করে জনগণের স্বার্থে যে কোন বিচারক কার্যক্রম ৯০ দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি যেকোনো অপরাধী আইনের এই সুযোগ ব্যবহার করে কিছুদিন জেল হাজতে থাকলেও আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে এসে আবারো অপরাধের সাথে সঙ্গবদ্ধ হচ্ছেন বিশেষ করে একমাত্র আমাদের দেশেই দেখা যায় একটি মামলা কয়েক বছর যাবত ধরে চলতে থাকে এতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশেষ করে নিরপরাধী মানুষগুলি সকলেই চায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে দ্রুতই তাদের বিচারকার্য শেষ করা প্রয়োজন। যেকোনো মামলার ক্ষেত্রেই বিবেচিত হয়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করলে অপরাধীর সংখ্যা যেমন কম তো তেমনি নির অপরাধ মানুষ গুলি ভোগান্তি থেকে বেঁচে যেত একটি নিরপরাধ মানুষ দিনের পর দিন জেল হাজতে থেকে এক সময় তিনি জানতে পারেন এবং কোর্ট তাকে নিরপরাধ বলে খালাস দিয়ে থাকেন কিন্তু তিনি যে নির্দোষ ছিলেন তা প্রমাণ করতে কখনো কখনো ২/৪ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই অনিয়মের ঢালা বিছানা পড়ে আছে।