সাইদ গাজী, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলা সহ উভয় দলের ৩০ জনের আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষকারীরা এসময় কয়েকটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণুদি দক্ষিণ পাড়ায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন গণ অধিকার পরিষদ নেতা দাউদ মুন্সির বাড়িও ভাংচুর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরু শেখ ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইবাদত মিয়া সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দুজনেই বিএনপির ত্যাগী কর্মী বলে জানা যায়। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে নেতৃত্ব চলে আসে মামা হিরু শেখ ও ভাগ্নে ইবাদত মাতুব্বরের হাতে। স্থানীয়ভাবে দুইজন দুদলের নেতৃত্ব আসেন। এনিয়ে মামা ও ভাগ্নের সম্পর্কে অবনতি হয়। রবিবার সকালে ভাগ্নে ইবাদত পেয়াজ বিক্রি করে ফিরছিলেন এমন সময় মামা হিরু শেখ ভাগ্নেকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বললে মামা ভাগ্নের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই সূত্র ধরে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরপর দুই জনের কর্মী সমর্থকেরা যোগ দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষকারীরা উভয় দলের ৬/৭ টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় দলের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
যুবদল নেতা ইবাদত মিয়া বলেন, আমি তারেক জিয়ার সৈনিক, শামা ওবায়েদ আপার লোক, হিরু শেখ আওয়ামী লীগের লোকজন দলে মিশিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমার নিজের ঘরসহ তিনটি বাড়ি ভাংচুর করেছে। আমার মা, স্ত্রীসহ চারজন মহিলাকে মারধর করেছে। আমার বাড়িঘরে হামলা করে লুটপাট করেছে। আমি এর বিচার চাই।
ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হিরু শেখ জানান, ইবাদত আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমার ভাতিজা ও আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় চারটি বসতঘরে তারা হামলা চালায়। হামলায় আমার দলের ১জন মহিলা সহ ১২ জন আহত হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমার বাড়িতে আসেন, আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমি এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।