মুজিবুল হাসান ছোটন
কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক যেন এক মৃত্যুপুরীর নাম। প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে নিথর দেহে পরিণত হচ্ছে শত শত তাজা প্রাণ।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪৮ ঘন্টায় লোহাগাড়ার চুনতির জাঙ্গালীয়া নামক স্থানে পৃথক ৩টি সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩ জন এবং আহত হয়েছে ৩০ জনের অধিক। সর্বশেষ আজ ২রা এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন ৭জন। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী, ১জন শিশু ও বাকী ৩জন পুরুষ ছিলেন বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
এদিকে একই স্থানে বার বার সড়ক দূর্ঘটনা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা সাধারণ যাত্রীরা। এবিষয়ে কয়কজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লবণ পরিবহণ ও অবৈধ ডাম্পার গাড়ি যোগে মাটি পরিবহন করায় রাস্তায় এসব লবণের পানি ও মাটি মিশে গিয়ে সড়ক পিচ্চিল রুপ ধারণ করে। তার পাশাপাশি ওভারটেকিং সহ চালাকের অদক্ষতা কারণে ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে এসব দূর্ঘটনা। এছাড়াও অনেকে দুষছেন মহাসড়ক পুলিশকে ম্যানেজ করে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানোকে।
এবিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর লোহাগাড়া শাখার সদস্য মো. সোহাগ মিয়া জানান,হাতি বাঁচানোর জন্য যদি রেলের গতি ২০ কিলোমিটার করা হয়, মানুষ বাঁচানোর জন্য কেন গাড়ির গতি কমানো হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি প্রশাসন ও সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।