নিজস্ব সংবাদদাতা:-
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৫/০৪/২০২৪, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); তৎসহ ৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড, ১৮৬০* এর তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামী *মো: শহীদুল ইসলাম (২২), পিতা- মো: রোকন মিয়া, সাং- সেকেন্দার নগর, থানা- তারাইল, জেলা- কিশোরগঞ্জ* ঢাকা জেলার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের উত্তর পার্শ্বের সিড়ির নিচ হতে *পুলিশের হেফাজত হতে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।* পরবর্তীতে কোর্টে কর্মরত অফিসার-ফোর্স পলাতক মো: শহীদুল ইসলাম (২২)’কে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। গ্রেফতার সম্ভব না হওয়ায় মাননীয় বিচারক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা সমগ্র বাংলাদেশে আসামী গ্রেফতারে বেতার বার্তা প্রেরণ করেন।
প্রকাশ থাকে যে, *গত ১৪/০৪/২০২৪ তারিখ ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঘাটারচর মধু সিটিতে* ভিকটিম (১৯) তার অন্যান্য বন্ধুদের সহিত ঘুরতে আসলে আসামী মো: শহীদুল ইসলাম (২২) সহ অপরাপর আসামীগণ বন্ধুদের আটক রেখে *ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে* এবং ভিকটিমের সঙ্গে থাকা বন্ধুদের মারধর করে। ভিকটিম ও তার বন্ধুদের নিকটে থাকা নগদ অর্থ ও ব্যবহৃত মোবাইল আসামীগণ নিয়ে নেয়। এরপর ভিকটিম বাদী হয়ে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে যাহার ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৫/০৪/২০২৪, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); তৎসহ ৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড, ১৮৬০ ।
২। উক্ত ঘটনায় জজ কোর্ট হাজত খানা, ঢাকা এর ইন-চার্জ ডিএমপি, ঢাকার কোতয়ালী থানায় আসামী মো: শহীদুল ইসলাম (২২)’কে উল্লেখ করে আইনানুগ হেফাজত হতে আসামী পলায়ন সম্পর্কে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত মামলার পলাতক আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় *অদ্য ১৩/০৩/২০২৫ তারিখ রাত্রি অনুমান ০১.৪০ ঘটিকায়* র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-১৪ এর সহযোগীতায় *নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার গোয়াতলা এলাকায়* একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডিএমপি, ঢাকার কোতয়ালী থানার মামলা নং- ২১, তারিখ- ১৭/০২/২০২৫, ধারা- ২২৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ এর এজাহারনামীয় এবং ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৫/০৪/২০২৪, ধারা- ৯(৩)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩); তৎসহ ৩৪২/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড, ১৮৬০ এর পুলিশ হেফাজত হতে পলাতক আসামী *মো: শহীদুল ইসলাম (২২), পিতা- মো: রোকন মিয়া, সাং- সেকেন্দার নগর, থানা- তারাইল, জেলা- কিশোরগঞ্জ’কে* গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।